🎁 🎈জন্মদিনের জন্ম ভাবনা 🎉 🤔

Mehedi's Birthday

আজ আমার ২৮ তম জন্মদিন, শুধু আমার নয় আমার ছোট ভাইয়েরও জন্ম দিন। মহান রাব্বুল আ'লামীন আমাদের যুগল করে দুনিয়াতে পাঠাইছেন। প্রতিবারের মত এইবারো জন্মদিনের বিশেষ কোন আধুনিকতা নেই। জন্ম হল মানুষের পৃথিবী জীবনের শুরু। ১৯৯৪ সালের এই দিনে জুলাই মাসে আমার জন্ম। জন্ম ব্যাপারটাকে যত খুশির বলে মনে করা হয়ে আসলে তা তেমন খুশির নয়। জন্ম হওয়া মানে মৃত্যু ফলে বিজ বোনা। আর মৃত্যুর কথা স্মরন হলেই মন খারপ হয়ে যায়। এই বুঝি আজরাইল হাজির হইল। খালি ভয় আর ভয় । অবশ্য আল্লাহ ও তার রাসুল মৃতুকে স্মরন করতে বলেছেন বেশী বেশী। এতে মন নরম হয়। জগতের প্রতি মোহ থাকেনা।

পছন্দ- অপছন্দ যাই করি না কেন এটা চির সত্য প্রত্যেকটি আত্মাকেই মৃত্যুর স্বাদ পেতে হবে। বর্তমান মানব সম্প্রদায় এই চির সত্যকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করছে। আর তার জন্য তারা গা ডুবিয়ে দিচ্ছে নানান ধরনে বিলাসীতায়। কিন্তু মৃত্যুকে ভুলে থাকলেই কি সব সমস্যার সামাধান হয়ে যাবে। জন্ম দিনের এতো আনন্দ কেক কাটা হই হুল্লোরের মাঝে ভুলে যাই আমার জীবন থেকে খসে পড়ল আরো একটি বছর। ঝড়ে যাচ্ছে বছরগুলো এক এক করে। হায়াত কমছে।

পবিত্র আল-কোরআনে জন্মানোর কারন হিসাবে বলা হয়েছে ইবাদতের কথা। অর্থাৎ আল্লাহর আরাধনা করার জন্যই প্রানের সৃষ্টি। প্রতিটি প্রানীই তার নিজস্ব ঢংগে আরাধান করে। কিন্তু মানব সম্পদায় তার আরধনার দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করেনা। সে ভুলে থাকতে চায় মুত্যর মত তার জন্মের উদ্দেশ্যকেও। জন্ম –মৃত্যু যতই ভাল বা খারাপ হোক না কেন, মনে রাখতে হবে জন্মের মাধ্যাম বান্দার পরিক্ষার হলে প্রবেশ। মৃত্যর মাধ্যমে পরিক্ষার সমাপ্তী। পরীক্ষার হলে বসে বসে কেউ যদি না লেখে সময় নষ্ট করে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ। তেমনি দুনিয়াতে যতক্ষন থাকা হবে ততক্ষন যদি মানুষ ভোগবিলাসে কাটিয়ে মূল্যবান জীবন নষ্ট করা হয় তাহেলে একইরকম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

আমরা দুনিয়াতে আমলে সলেহ করলে অর্থাৎ সৎ কাজ করলে একদিকে আল্লাহর ইবাদত হত অন্যদিকে মানুষের খেদমত হত। হক্কুল ইবাদ অর্থাত মানুষের হক যে আদায় করে সে আল্লাহর খুব পছন্দের। এই মানবিক চেতনা মানুষকে দিতে পারে শান্তির ফুলগুধারা। মানবজাতি যদি মনে রাখত তাকে একদিন তার স্রষ্টার সাথে মিলিত হতে হবে। তখন এই ভাল কাজই তার মুক্তির উছিলা হতে পারে। তাই বেশী বেশী মৃত্যুকে স্বরন করে ভালে কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

আমারা দুনিয়ার সবাই যদি মুত্যকে স্মরন করতাম তাহলে সমাজে পাপ অনেক কমে যেত। মৃত্যু মানেইতো আল্লাহর কাছে জবাব দিহি দেয়া। "দুনিয়া আখেরাতের শষ্য ক্ষেত্র" - আল হাদিস। শষ্য ক্ষেত্রে এখন যদি ভালভাবে কাজ করি আখেরে ভাল ফসল পাওয়া যাবে। আর তা না হলে স্বর্বহারা হয়ে কেয়ামতের ময়দানে আহাজারী করতে হবে।